দেশেরঅন্যতম বৃহত্তম একটি নদী যার নাম পদ্মা।প্রাকৃতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশপ্রধানতঃ গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর বাহিত পলিমাটি দ্বারা গঠিতবিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ। হিমালয় থেকে উদ্ভুত নদীগুলোর গতিপথ বহুবারপরিবর্তিত হয়েছে। যার ফলে এই নদীগুলোর তীরে যেমনি গড়ে উঠেছিল সমৃদ্ধ নানাশহর, তেমনি তারা আবার নদীগর্ভে বিলিনও হয়ে যায়। তাই বাংলার অর্থনৈতিকজীবনের অতীত চিহ্ন খুব কম পাওয়া যায়। যেমন আজ আমরা গঙ্গার যে গতিপথ দেখতেপাই তা ষোড়শ শতাব্দিতেও ভিন্ন ছিল। সে সময় তা আরও উত্তর-পূর্ব দিক থেকেএসে গৌড় শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হত। বর্তমান ফারাক্কা বাধ নির্মাণেরপূর্বে গঙ্গার পানি মূলতঃ পদ্মা দিয়েই প্রবাহিত হতো, কিন্তু আগে ভাগীরথীইছিল গঙ্গার প্রবাহ পথ। সেও শ’পাচেক বৎসর আগের কথা।
এমনকিঅস্টাদশ শতাব্দিতেও পদ্মার নিম্ন অববাহিকা ছিল বর্তমান গতিপথের অনেকদক্ষিণে। পদ্মা সেকালে ফরিদপুর ও বাকেরগন্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েবর্তমান চাঁদপুরের প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে শাহবাজপুর দ্বীপের উত্তরেমেঘনায় মিলেছিল। একসময়কার বিখ্যাত নগরী রাজনগর ছিল তার বাম তীরে এবং এরসন্নিকটে কালিগঙ্গা নদী মেঘনা ও পদ্মার মধ্যে সংযোগ সাধন করত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস